লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ৮নং বুল্লা ইউ/পি'র বুল্লা গ্রামে সৌদি আরবে সংঘটিত একটি সংঘর্ষের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেলে এতে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের মাধবপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং হবিগঞ্জ'সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি সৌদি আরবে বুল্লা গ্রামের ধলাই মিয়ার ছেলের সঙ্গে একই গ্রামের সৌদি-প্রবাসী অন্য একজনের ভিসা জটিলতা নিয়ে মারামারি হয়। এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে বুল্লা গ্রামের ধলাই মিয়া ও হেলাল মেম্বারের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল, যা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও তীব্র হয়। উভয়পক্ষই এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করে।
এই উত্তেজনার ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৩-আগস্ট) বিকেলে উভয় পক্ষের শত শত লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘাতে দুই পক্ষের শতাধিক লোক আহত হন। খবর পেয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ উল্লাহর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ওসি শহীদ উল্লাহ, এস আই শাহানূর ইসলাম, এস আই বিজয় দেবনাথ, এস আই এএস আই লালন ফকির, এএসআই সাদেকুর রহমান, কনস্টেবল স্বপ্ন বিকাশ চাকমা, মোঃ রুমন মিয়া আহত হন। আহতদের মধ্যে এনু (৬৫), সফিক (২৭),কাসাল (২৮),আজগর (২৯),জাহেদ (৫৬),রোকন (২২),শাহিন (২৪),আরিফ (২২),খলিল (৩২),সাইদ (৫৫),রিফাত (১৬),শিমুল (২২),তৌহিদ (৩৮),জাহেদ (৪০), তিষুক (৫০),আলীরাজ (২৮),তৌহিদ (৪০),আগুর (৩৫),
আলী আকবর (৬০),সুহেল (২৮),চনু (৪৫),জামাল (৩১),জলফু (৫৫),মন্নান (২৮),সাদাম (৩৫),সুমন (৩০),রিদয় (২২),,রাসেল মিয়া (১৮), রাশেদ মিয়া (১৮), বাবুল মিয়া (৬০), মন্নান মিয়া (২৭), ইছব মিয়া (৩৫), জালাল উদ্দিন (৩৫), শাহ আলম (৪০), ইউনুছ মিয়া (৬০), লিটন মিয়া (৩৫), রহমত উল্লাহ (২৪), জালাল মিয়া (২৬), সুন্দর আলী (৪২), নয়ন মিয়া (১৬), আদম খা (৩০), ফারুক মিয়া (৫০), শরীফ উদ্দিন (৫০), ছোয়াব মিয়া (৪০), ছায়েদুল (৪০), চুন্নু মিয়া (৫৫), জলফু মিয়া (৬১), শাকিল মিয়া (২০), শাহাব উদ্দিন (৫১), নুরুল হক (৫০), সাগর (১৬), পাবেল (২৪), দুলাল মিয়া (৪৫), রাশেদ মিয়া (১৫), মনটু মিয়া (৫০), মিরাজ মিয়া (২২), সোহরাব (৩৫) সহ আরও অনেককে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল এবং অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শহীদ উল্লাহ জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।